কেমন হবে বৈশাখে রঙিন শাড়ি?

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর বলতে গেলে, এ উৎসব আয়োজনে বাঙালি নারীদের প্রিয় পোশাক শাড়ি। বাহারি রং, ডিজাইনে নতুনত্ব আর দেশীয় আমেজ। মেয়েদের সাজগোজ না হলে যেন বৈশাখের আনন্দ পরিপূর্ণ হয় না।

বৈশাখ মানেই লাল-সাদা পাড়ের শাড়ি অথবা পোশাক—এই চলের একটু হলেও পরিবর্তন এসেছে। এখন বৈশাখে রংধনুর সব রঙই জায়গা পাচ্ছে পোশাকে। হতে পারে সেটি একরঙা, নয়তো বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ। বৈশাখ বলে কথা। আপনাকে রঙিন করে সাজাতে ব্যস্ত নগরীর ফ্যাশন হাউসগুলোও। লাল, সাদা, কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি ও নীল—সব রংকেই বৈশাখী আমেজে পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

বৈশাখের দিনটিতে যেহেতু অনেক গরম থাকে, তাই শাড়িটি হওয়া চাই আরামদায়ক এবং স্বাচ্ছন্দ্যের। তাই এ সময়ে সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক ও লিলেন কাপড় বেছে নিতে পারেন। রাতে একটু জমকালো পার্টিতে আপনি চাইলে হালকা জর্জেটের শাড়িও পরতে পারেন।

শাড়ির রঙের পাশাপাশি ডিজাইন আর কাজেও রয়েছে নতুনত্ব। ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, কারচুপি, এমব্রয়ডারি ও হাতের কাজ করা হয়েছে এসব শাড়িতে। আর মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বৈশাখের বিভিন্ন থিম। বুনন রীতি, রঙের বিন্যাস আর ভ্যালু এডিশনের মাধ্যমে শাড়ির ডিজাইনে বৈশাখের ছোঁয়া রয়েছে।

তবে শাড়ির সৌন্দর্য অনেকটা নির্ভর করে ব্লাউজের ওপর। ব্লাউজের কাটিংয়ে ভিন্নতা বরাবরই থাকে। লম্বা হাতা, থ্রি কোয়ার্টার হাতা, হাফ হাতা, ঘটি হাতা অথবা স্লিভলেস ব্লাউজও পরতে পারেন। গলার ক্ষেত্রে উঁচু গলার ট্রেন্ড এখন খুব চলছে। তাই বিভিন্ন বোতাম ব্যবহার করে উঁচু গলার ব্লাউজ তৈরি করতে পারেন। এ ছাড়া সাধারণ গোল গলা, ভি-আকৃতির গলা দিয়েও বানাতে পারেন। পুরোটাই নির্ভর করে আপনার রুচির ওপর। সে সঙ্গে স্বচ্ছন্দের কথাটি ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। যেভাবে আপনি পরে স্বস্তি বোধ করবেন, সেটাই আগে প্রাধান্য দিন।

শাড়ির সঙ্গে একটু উঁচু হিল বেশ মানানসই। কিন্তু যদি বাইরে অনেক বেশি ঘোরাফেরা করেন, তাহলে উঁচু হিল না পরাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সেমি উঁচু হিল বেছে নিতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে এবং হেঁটেও আরাম পাবেন।