রাজশাহীতে সর্বজনীন পেনশন মেলা ১৯ এপ্রিল

Looks like you've blocked notifications!

দেশের নাগরিকের অবসরকালীন জীবিকা, সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। এই আওতা বৃদ্ধি করতে সরকার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দেশের আট বিভাগে সর্বজনীন পেনশন মেলা করা হবে। এরই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগে প্রথমবারের মতো মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। যার সহযোগিতায় থাকবে রাজশাহী বিভাগের প্রশাসন।

আগামী ১৯ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া মেলাটির উদ্বোধন করবেন। মেলায় ৭০টির মতো বুথ থাকবে। মেলার স্টলগুলোতে সর্বসাধারণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অর্থ জমাদানের সুযোগ থাকবে। আর্থিক লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী, সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ থাকছে। মেলায় রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় পৃথক পৃথক বুথ রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো- গোদাগাড়ী উপজেলা, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পবা ও পুঠিয়া উপজেলা। 

উপজেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্ব একটি বিশেষ টিম। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করবে। সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যাতে সব স্তরের জনগণ মেলায় এসে সর্বজনীন পেনশনের সুবিধাগুলো সরাসরি জানতে পারে। থাকবে কর্মশালা ও উন্মুক্ত আলোচনা। 

মেলা প্রসঙ্গে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ মূল আয়োজক। তবে সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন। এই কারণ আমরা বলছি যৌথ আয়োজন। কারণ রাজশাহীর পরিবেশ-পরিস্থিতি, লজিস্টিক সহায়তা এবং সব কর্মচারীর অংশগ্রহণ তারা নিশ্চিত করবে তারা। এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। যেভাবে মানুষ অংশ নিচ্ছে শিগগিরই ওই সংখ্যা লাখে চলে যাবে। 

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়,  উদ্বোধনের পর থেকে ৯ মাসে চারটি স্কিমে নিবন্ধন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন ব্যক্তি। চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি হিসাবে ৪৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। যার মধ্যে প্রবাস স্কিমে ৫৯৮ জন, প্রগতিতে ১১ হাজার ১০৫ জন, সুরক্ষায় ১৬ হাজার ৩৭৬ জন ও সমতা স্কিমে ২৬ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি যুক্ত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিম উদ্বোধন করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট- চালু করা হয় এবং চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া শুরু হয়।