নিরাপদ  প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর

Looks like you've blocked notifications!
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মৎস্য মো. আব্দুর রহমান আজ শনিবার ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের তাগিদ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মৎস্য মো. আব্দুর রহমান। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। 

আব্দুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহূত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও  তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে।

যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি  ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। 

ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ এক ও অভিন্ন হলে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স বক্তব্য দেন।