স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বাড়িতে অবস্থান, স্বামী পলাতক

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্বফুলবাড়িয়া গ্রামে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন এই নারী।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্বফুলবাড়িয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর বাড়ির লোকজন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন।

নববধূর পরিবার ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্বফুলবাড়িয়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে নিশাত শেখ। তিনি পাশের সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে মোর্শেদা খানমের সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস প্রেম করেন। এই সম্পর্কের জেরে অভিভাবক ছাড়াই গত ৯ এপ্রিল  বিয়ে করেন তাঁরা। বাসর রাত কাটিয়েই পালান স্বামী নিশাত। পরবর্তী সময়ে আর ওই মেয়ের বা তার পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখায় আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান নেন স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে।

মোর্শেদা খানম বলেন, ‘নিশাতের সঙ্গে আমার ফেইসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক। দীর্ঘ নয় মাস তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলে। আমাদের বাড়িতে সে যাওয়া-আসা করত নিয়মিত। গত ৯ এপ্রিল তার সম্মতিতে আমাদের বাড়িতে বিয়ে হয়। সে আমার সঙ্গে বিয়ের পর রাত্রি যাপন করে সকালে পালিয়ে চলে আসে। এরপর এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার সঙ্গে বা আমার পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। এজন্য আমার স্বামীর বাড়িতে আজ চলে এসেছি। আমি এখানে এলে বাড়ির সবাই পালিয়েছে। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া উপায় নেই।

মোর্শেদার ভাই ইয়াসিন বলেন, নিশাতের সঙ্গে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত যাতায়াত ছিল আমাদের বাড়িতে।  আমরা পরিবার থেকে নিষেধ করেও  তাকে থামাতে পারিনি। গত ৯ এপ্রিল নিশাতের সম্মতিতে ওর এলাকার মেম্বারের ভাতিজার আনোয়ার কাজীকে জানিয়ে আমরা বিয়ে দিয়েছি। এখন আমার বোনকে সে আর বাড়িতে নিচ্ছে না। কোনো যোগাযোগও করছে না। এই অবস্থায় আমরা এখন কী করব?

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এখন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ গিয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’