‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ’ বইয়ের প্রকাশনা

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীরের ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ : ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও দ্যু প্রকাশন যৌথভাবে ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের নুভেল ভাগ মিলনায়তনে শুক্রবার এর আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচক অনুপম হায়াৎ, কবি, গবেষক ও সম্পাদক কাজল রশীদ শাহীন, চলচ্চিত্র গবেষক ও আলোকচিত্র শিল্পী মীর শামছুল আলম বাবু এবং কবি ও চলচ্চিত্র শিক্ষক সাকিরা পারভীন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘এবং বই’ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দ্যু প্রকাশনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কানিজ ফাতিমা।

অনুপম হায়াৎ বলেন, লেখক একজন কথাসাহিত্যিক। তিনি বইয়ে শক্তভাবে তার অ্যাটিচিউডের স্বাক্ষর রেখেছেন। যা বইয়ের সর্বত্র বিদ্যমান।

কাজল রশীদ শাহীন বলেন, বইটির মূল ফোকাস জাতীয় চলচ্চিত্রের দিকে। লেখক এ বিষয়ে একটি অধ্যায় যুক্ত করে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি নিজেদের সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানা ও বোঝার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাইরের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন উপেক্ষা ও মোকাবিলার কথা বলেছেন।

মীর শামছুল আলম বাবু বলেন, এই বইয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হল, বইয়ে উল্লিখিত সবগুলো চলচ্চিত্র লেখক দেখেছেন এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন; যা বইটি পড়লে ভালোভাবেই বোঝা যায়।

সাকিরা পারভীন বলেন, বইটিতে চলচ্চিত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে লেখক প্রথাগত পদ্ধতি প্রয়োগ না করে নিজস্ব পদ্ধতি-পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করেছেন। এ কারণে সকলের সঙ্গে লেখকের মতামত নাও মিলতে পারে। কিন্তু বইটি সকলের পাঠ করা জরুরি।

কানিজ ফাতিমা বলেন, এই বই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অমসৃণ যাত্রাপথের বস্তুনিষ্ঠ বয়ান। যে বয়ান এক চলচ্চিত্রপ্রেমী কথাসাহিত্যিকের। যেখানে তিনি হাজির হয়েছেন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন মেজাজে। প্রকাশন প্রতিষ্ঠান দ্যু তাঁর বইটি প্রকাশ করতে পেরে আনন্দিত।

লেখক আহমদ বশীর সংক্ষেপে বইটি রচনার প্রেক্ষপট বর্ণনা করেন। শৈশব-কৈশোর ও যৌবনে দেখা চলচ্চিত্রের কয়েকটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। উন্মুক্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন লেখক। এতে অংশগ্রহণ করেন কবি ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ, চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক মোমিন রহমান।

অনুষ্ঠানে লেখক আহমদ বশীরের অনুবাদে ফরাসি ঔপন্যাসিক জুল ভার্নের বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘আশি দিনে পৃথিবী ভ্রমণ’ বইটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। বইটির প্রকাশক দ্যু প্রকাশ জানায়, ইতোপূর্বে ১৯৮৭ সালে বইটি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।